বিশ্বরূপ বিশ্বাস


শিল্পে কবিতা সুকুমার, এই ভাবনাটি প্রচল। গদ্যের অনুষঙ্গে কবিতাকে দেখেছি বারবার। তাই একটু উলটে, পালটে দিল রেহেল। কবিকে দেওয়া হল তিনটি গদ্যের অংশ। বলা হল এই তিনটি গদ্যাংশ কে নিজের মতো গ্রহণ করে লিখতে হবে অন্তত তিনটি কবিতা। নির্বাচিত কবিরা বাউন্সার শুধু সামলালেনই না সপাটে মাঠের বাইরে ফেললেন কেউ কেউ। 

আমরা যে তিনটি গদ্যাংশ কবিকে দিয়েছিলাম

১.

স্ক্যালপেল হাতে ডা. মোদক এই সময় অনেকক্ষন তপনের দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলেন। তপনের মতে, লাশটিকে তিনি তখনই চিনতে পেরেছিলেন। কারণ, গলঅস্থি থেকে নাভিমূল পর্যন্ত কাটবার সময় তাঁর ডানহাত এত কাঁপছিল যে তিনি ছুরির বাঁট কিছুটা বাঁ-হাতে এবং বাকিটা দু-হাতে ধরে ইনসিশন সম্পূর্ণ করেন।
পোস্টমর্টেমের আইনকানুন আজকাল আগের মতো নয়যদিও বিষ পেটেই পাওয়া যাবে, কিন্তু প্রতিটি প্রত্যঙ্গই এখন আলাদা করে পরীক্ষা হয়। তাই একে একে লিভার, কিডনি এসব কেটে বের করে দীনবন্ধু তপনের হাতে তুলে দিতে থাকেন। তপন সেগুলো আপাতত সাজিয়ে রাখছে সাদা পাথরের টেবিলটার ওপর। পরে হরিদ্রাভ অ্যাসিডের মধ্যে এরা বড় বড় বয়েমে থাকবে। বুকের খাঁচা গায়ের জোরে সরিয়ে হার্ট কেটে বের করলেন দীনবন্ধু। কটমট শব্দে হাড় খোলার শব্দ। পালমোনারি আর্টারির ডগা ধরে দুলিয়ে হার্টটা ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে দেখালেনও তপনকে, ‘ লুক হিয়ার। একটা হেলথি হার্ট বলতে কী বোঝায়, ভাল করে দেখ।’ একটা টুসকি দিয়ে হার্টে ‘আরও পঞ্চাশ বছর’ হেসে খেলে চলত এখন- বেগুনি হার্টটা তিনি ছ’টি স্লাইসে কাটতে বললেন তপনকে। এদিকে, পেট-বুক সব খালি হয়ে গেল দেখে, এই সময় ভরত বডির মুখ থেকে দুম করে ঢাকাটা সরিয়ে দেয়। এরপরে ঘটনা আগেই বলা হয়েছে। অর্থাৎ, কম্পমান স্ক্যালপেল হাতে ডাক্তার মোদকের দ্রুত কক্ষত্যাগের কথা।
কিন্তু আরও আগের ঘটনা তপন জেনেছিল ভরতেরই কাছে। ভরতের বউ মেনকা ঠিকে কাজ করত ডাক্তারবাবুর বাড়িতে। আশা ছিল রাতদিনের কাজে। সে পাসপোর্ট-ভিসাহীন বাংলাদেশের মেয়ে। এখানে আর কেউ নেই। সীমান্তে বহুধর্ষিতা কিশোরী মেয়েটি কিন্তু গর্ভবতী হয় ডাক্তার মোদকের বাড়িতেই। এজন্যে বাড়ির দারোয়ানকে দোষ দিয়ে তাড়ানো হয়আবোর্সনের রাজকীয় বন্দোবস্ত হয় নার্সিং হোমে। স্বয়ং মিসেস মোদক তত্ত্বাবধান করেন। ডাক্তার মোদকের নাম না-করার জন্য ডাক্তার-গৃহিণী বোর্সন-অন্তে তাকে একটি রোল্ড গোল্ডের নাকছাবি গড়িয়ে দেন। সংলগ্ন হিরেটা নকল হলেও ঝকমক করত খুব। তারপর তাকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ‘কিন্তু ও তো বর্ডার থেকেই পালিয়ে এসেছিল স্যার’, তপনকে ভরত রবিদাস জানায়, ‘কালিঘাটে রেন্ডিগিরি করত।’
না, এই গল্পে এ পর্যন্ত ভয়ের কিছু নেই। ভূতই বা কোথায়? অথচ, এই গল্পই শেষ করার সময় তপন যখন আমার হাত চেপে ধরল, সে ঠক ঠক করে কাঁপছে !
‘ জানো, ব্যানার্জিদা’, তপন বলল কাঁপতে কাঁপতে, ‘ ডাক্তার মোদক তো ঘর ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন। আমি কিন্তু পালাতে পারিনি
‘কেন। তুমি আবার পালাতে যাবে কেন?’
‘আমি অটোপসি রুমের মধ্যে ফেন্ট হয়ে পড়ি’ তপন ভয়ে ভয়ে জানায়।
‘সে কী। কেন?’
‘বিশ্বাস করো ব্যানার্জিদা’, তপন বলল, ‘এই যে লোমগুলো ফের খাড়া হয়ে উঠল আমার। আমি দেখলাম- ’ তপন চুপ করল।
‘কী দেখলে তুমি?’
‘আমি দেখলাম আশার ফোলা ফোলা ঠোঁট দুটো পাতলা হয়ে ছড়িয়ে যাচ্ছে এক অদ্ভুত নীল হাসিতে। একদম জ্যান্ত, বিশ্বাস করো তুমি। অমন ভীষন নিষ্ঠুর ভয়াবহ চুড়ান্ত বিদ্রুপের হাসি মানুষ হাসতে পারে না। আর- ’
‘আর?’
‘আর নাকছাবির সেই নকল হিরে থেকে, ওঃ হো’ , চোখ দুহাতে ঢেকে তপন বলল, ‘সে কী তীব্র নীল রশ্মি ! অন্ধ করে দেবে যেন !’
অবশ্য, হ্যাঁ, আমি পরে খোঁজ নিয়ে জেনেছি, দু’দিন ধরে পচতে–থাকা লাশের ঠোঁট, পচন-ক্রিয়ার কোনও বিশেষ মুহুর্তে অমন হাসি হাসি দেখাতে পারে। কিন্তু যদি তা–ও হয়, সেই মুহুর্ত প্রায়ান্ধকার ছমছমে, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত লাশ-কাটা ঘরে, সেটা ভুতের হাসি ছাড়া আর কী মনে হতে পারে? এবং, একথা কি নির্ভুলভাবে জানা যাবে কোনওদিন, যে, অকূল তিমির সাঁতারে ওই হাসি আশার প্রেত এসে হেসে যায়নি? 
 [উৎস: প্রেতিনীর হাসি // সন্দীপন চট্টোপাধ্যায় গদ্য নির্বাচনে: অভিষেক ঝা]

২.

মুনসিকে কৈ কোথাও দেখতে পায় না। জাগরণে তাকে দেখতে পাওয়া অসম্ভব ব্যাপার, স্বপ্নের আড়ালেই কি সে রয়ে যাবে চিরটা কাল? মুনসি মানুষ ভালো লয় গো মানুষটা মুনসি ভালো লয়! ব্যামাক মানুষের আড়ালে আড়ালে লুকিয়ে থাকতে সে বড়ই ওস্তাদ – হায়! হায়! মুনসি কি মানুষ নাকি? তওবা! তওবা! মুনসিকে মানুষের সারিতে নিয়ে এলে কতোরকম বালামুসিবত না সে দিয়েই চলবে। মরার আগে পর্যন্ত মুনসি হয়ত মানুষই ছিল। তা সে কি আজকের কথা? সেই কোন আমলের এক বিকেলবেলা বেলা ডোবার আগে আগে মজনু শাহের হাজার হাজার বেশুমার ফকিরদের সঙ্গে করতোয়ার দিকে ছোটার সময় গোরাদের সর্দার টেলরের বন্দুকের গুলিতে মরে সে পড়ে গিয়েছিলো সাদা ঘোড়া থেকে। সব্ব অঙ্গে তীর-বেঁধা সেই ঘোড়া উড়ে গেল কোথায় কে জানে, আর এখানে এই কাদায় পড়ে থাকতে থাকতে মুনসির লাশ জ্বলে উঠলো লাল আগুন, নীল আগুন, কালো আগুনের শিখায়। তিন দিন তার জ্বলন্ত শরীর ছোঁয়ার সাহস কারো হলো না, কাফন দাফন সবই বাকি রইলো দেখে মুনসি কী আর করে, গুলিতে ফাঁক-করা গলা নিয়ে সোজা চড়ে বসলো পাকুড় গাছের মাথায়। মুনসি সেই থেকে আগুনের জীবতার গোটা শরীর, তার লম্বা দাড়ি, তার কালো পাগড়ি, তার বুকের শেকল, তার হাতের পান্টি সবই এখন আগুনে জ্বলে। এরকম একটা মানুষকে মানুষ বলে গণ্য করে ফেলার ভয় ও আফসোসে তমিজের বাপ চমকে চমকে ওঠে। হয়ত এই চমকেই ধাক্কা খায় তার ঘুমের ঘনঘোর আন্ধার। হঠাৎ ঘুম-ভাঙা মানুষের মতো চোখ মেলে সে পা ফেলে সামনে। পায়ের গিরে-সমান পানিতে নিজের পায়ের ছপছপ আওয়াজে সে শোনে মুনসির গলা থেকে বেরুনো চাপা গর্জনের বন্ধ কাৎরানি। আশায় আশায় তার বুক ছটফট করে: এই বুঝি মুনসির দেখা পাওয়া গেলো! ভয়ে ভয়ে তার বুক ছমছম করে: এই বুঝি রে মুনসি এসে পড়লো! বিলের শাপলার মূল তার পায়ে ঠেকলে একটু উপুড় হয়ে সে আঁকড়ে ধরে শাপলার ডাঁটা কিন্তু শাপলার লতা কি তার শরীরের ভার বইতে পারে? বিলের তলার কাদাই তাকে দাঁড় করিয়ে রাখার জন্যে যথেষ্ট। তার হাতের মুঠোয় ছিঁড়ে চলে আসে শাপলার পাঁপড়ির দোমড়ানো টুকরা। ছেঁড়া পাঁপড়ির নরম ছোঁয়ায় তার ঘুমের পাতলা কয়েকটা খোসা উঠে গেলেও ঘুম কিন্তু সবটা কাটে না। তন্দ্রার মধ্যে হাঁটি হাঁটি পা পা করে সে চলতে থাকে বাড়ির দিকে। তার হাতে শাপলার ছেঁড়াখোঁড়া পাঁপড়িকাঁধে জাল। তন্দ্রা কেটে যাবার আগেই পথ চলার একেকটি কদমে তন্দ্রা ফের ঘন হতে থাকে ঘুমে।
 [উৎস: খোয়াবনামা // আখতারুজ্জামান ইলিয়াস গদ্য নির্বাচনে: অভিষেক ঝা]

৩.

দিবা খুবই উল্লসিত হয়ে উঠল তিন তিনটি মায়ের বুক থেকে ছিনিয়ে-আনা শিশুকে পাথরে আছড়ে মেরেছে আজ পানাহারের পর শুরু হলো নৃত্য আগুনের সামনেই দিবা তার তরুণ ছেলে বাসুকে নিয়ে নাচতে শুরু করে দিল নাচের তালে তালে দুই উলঙ্গ নরনারী পরস্পরকে আলিঙ্গন আর চুম্বন করতে লাগল - কখনও বা ছাড়াছাড়ি হয়ে নিজেদের নিজস্ব নাচের ভঙ্গিমা দেখাতে লাগল সকলেই বুঝল আজ রাতে বাসুই হবে নেত্রী দিবার ক্রীড়া ও শয্যাসঙ্গীবাসু তার  জয়োন্মাত্তা মায়ের কামনাকে অবহেলা করতে চাইল না

নিশা-গোষ্ঠীর মৃগয়াভূমি এখন চার গুণ বেড়ে গেল আর শীতকালে তারা কোথায় থাকবে সে চিন্তাও দূর হল তবু একটা দুশ্চিন্তা তাদের রয়ে গেল – ঊষা-গোষ্ঠী জীবিত অবস্থায় যে ক্ষতি করতে পারেনি এখন মৃত্যুর পর প্রেতযোনি পেয়ে তাদের প্রতিশোধ নেবে যে ঘরে জীবিতদের পোড়ানো হয়েছিল সেই ঘরটা তো ভুতের আড্ডা হল নিশা-গোষ্ঠীর কেউ একা সেখান দিয়ে যেতে সাহস পায়না বহুবার শিকারিরা না-কি দেখেছে শত শত উলঙ্গ নর-নারী জ্বলন্ত আগুনের সামনে নাচছে বাসভূমি পরিবর্তনের প্রয়োজনে যে দিন ওই পোড়াঘরের সামনে দিয়ে যেতে হয়েছে - সংখ্যায় তারা বেশী ছিল আর দিনের আলো ছিল বলে রক্ষেদিবা তো কয়েকবারই দেখেছে যে, অন্ধকারের ভেতর দিয়ে দুগ্ধপোষ্য শিশু মাটি থেকে উঠে এসে তার হাত ধরে ঝুলছে – ভয়ে সে চিৎকার করে উঠেছে
[উৎস: ভোলগা থেকে গঙ্গা // রাহুল সাংকৃত্যায়ন। গদ্য নির্বাচনে: ইন্দ্রনীল ঘোষ]


তিনটি গদ্যাংশ থেকে কবি বিশ্বরূপ বিশ্বাস লিখলেন

১.
একজন রেন্ডিও ভূমিতলের ভূত-হিন্দোলা। খোঁপার পোস্টমর্টেম যখন 
নিথর দেহের কাটাছেঁড়া মাংশ হয়। শরীরের তন্দ্রা কেটে যায় যখন
 
হরিদ্রাভ অ্যাসিডের মধ্যে ডোবে শরীরের কুঁকড়ে পাওয়া কুঁড়েঘর। তুমি
 
যদি বাংলাদেশের মেয়ে হও তাহলে তুমি ভারতে এসে গর্ভবতী হবে না :


এ কথায় নাইতে পারো। নাইতে পারা আর উষ্ণ থাকা কুস্বপনে একক হয়। 
গাছ পটুয়ার শিরায় শিরায় ডাকিলো আহত শ্রীহরি। কে বলিলো বঁধুর
 
শিশিরে কোনো বিষ পাওয়া যায় না। গঞ্জনা দিলে নদীও সরসীর ললাটকে
 
ফাটিয়ে দ্যায়। ও সুযোগের দুয়ারে দাঁড়ানো অফুরান ডাক্তারবাবু। তোমাকে


জনম হারাইয়া মেঘঝড়ে ডলার দিবো গো। থৈ থৈ জল উত্তীর্ণ হবার 
জন্য দিবো নুননৌকা। দিবো গুরু গঞ্জনা। তুমি শুধু ঠোঁট চালাবে
 
না চরম চুম্বনের নাভিমূলে। ও ডাক্তারবাবু গো : তুমি শুধু মৃতনারীর
 
ছিন্ন-পাখারে সৃষ্টির পরদেশী ক'রে রমণীর অ্যাবোর্শন ঘটাও দিনরাত।।


২.
ছেঁড়াখোঁড়া শাপলার পাঁপড়িতে কত তওবা জ্বলে। অভিজ্ঞ ফকিরদের 
লাউডস্পিকারে কতরকমের নিকেতন। মজনু শাহ যদি পরিযায়ী সাইজের
 
উপসংহার নদীর পানিতে ভাসাতে পারে। যদি শাদা ঘোড়ার স্রোতে সেরা
 
রামধনু পবিত্র হয়। যদি কেকায় কেকায় সরু বিউগলের মাঝখানে উচ্চারণ


লয় ফাঁকা থাকা গলার ঝুপঝুপ নিলয়। তাহলে তখন ধ্যাৎ বলা জীবনটা 
ভোমরার মতন পায়ের গিরের সামনে বনতুলসী-চন্দন। তাকে বাঁদরে নিলে
 
বিয়োগান্তে জরা ব্যাধি হয়। তাকে কাফনে দিলে দাফনে নিলে তার সেলাই
 
করা দেহ শালপাতার উপরে মেঘের ডাঁটা সৃষ্টি করে। এই পৃথিবীর বড়োঘরে


বিড়ালেরা তাই জংধরা অস্ত্রের লোহা চাটে। তারপর উত্তেজিত হাঁসুয়ায় শ্যামা 
পোকারা বিছাপোকায় নীল। শতচ্ছিন কার্বোসালফানের পাহাড়। এখানে
 
তিলোত্তমা মানে কৃষ্ণান্ধকারের খরিফ মরসুম। এখানে শুঁটিপোকার লিটার
 
লিটার বেনোজল মানে ছপছপে কাৎরানির অন্ধযৌনদ্বার বিষন্ন নাতবৌয়ের।।



৩.
মানুষ সারাজীবন অন্ধকারে বাঁচতে পারে না। আবার মানুষ সারাজীবন 
আলোকেও বাঁচতে পারে না। কেউ দুয়োরাণী হ'লে : কেউ তো সুয়োরাণী
 
হয়। ঝোড়ো হাওয়ায় ব'সে তুমি যতটা প্রতারিত হও ততটা-ই গরমে আমি
 
প্রকাশিত। শীতের চোখে চোখ রেখে কেউ বাঁচতে পারে না। ইতিহাস
 
রূপকথা মাত্র। ভূগোল চুনি-পান্নার অন্তিমরাগের শেষ রাগিণী। ঠাণ্ডা কবরে


শুয়ে যে লাশ সিগারেট টানে তাকে স্বর্গের প্রার্থনায় একমুঠো নরক দাও। 
আচ্ছা তোমরা জাহান্নাম নিয়ে অ্যাতো ভয় পাও ক্যানো। সংসারে
 
তোমাদের যত বিপর্যস্ততা তা মৃত্যুর পরে আর থাকে না। মাঝখানে একটা


সারারাত রয় শুধু। এই শুরুর শুধুটা-ই তেপান্তরের জলসাঘর। এই 
হাড়ের হৃৎপিণ্ডটা-ই মাটির উপরে প্রলয়ের গান। এই সংগীতটা-ই 
ষটচক্রের নামরূপাদির কল্পনা। ইহার কোনো জল্পনা নেই। ইহার
 
নেই কোনো ব্রহ্মজ্ঞান। ইহাকে উপলব্ধি করামাত্র-ই দেহ নিখিল হইতে
 
বিলীন হ'য়ে যায়। তারপর ইহাতে-ই জন্মায় তণ্ডুল-কণা। চণ্ডালের হাঁড়ি।।

আপনার মূল্যবান মন্তব্য

2 comments:

  1. ভালো লাগেনি। বিশ্বরূপের থেকে প্রত্যাশা অনেক বেশী থাকে। আর বড্ড চমক আর গিমিকে ভর্ত্তি তিনটে লেখাই।

    ReplyDelete
    Replies
    1. আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য ধন্যবাদ।

      Delete